আজ আমার ছোট বোনের বিয়ে
শত খুশীর মাঝে দিন কাটে অজানা আশঙ্খা নিয়ে।
দিন কাটে যার আবদার ও বায়না ধরে
কেমনে সামলাবে সে অজানা ঘরে?
যে এখনও লুকায় মায়ের আচলে, সামান্যতে কাদে নির্ঝর
খেলাঘর যার এখনও এলোমেলো, কেমনে সাজাবে সে সংসার!!
দুরে কোথাও গেলে বেড়াতে কিন্বা কাজে
SMS পাঠাত সকাল, সন্ধ্যা সাঝে
কখন আসবে ভাইয়া ? পেতাম ফোনের পর ফোন
কেমনে আজ দুরে রবে আদরের ছোটবোন।
যাকে ক্ষেপাতাম তোকে বিয়ে দিব অনেক দুরে -কেউ নিবে না খোজ
কেদে কেদে বুক ভাসাত , সান্তনা দিতাম রোজ।
ঠোট ফুলিয়ে বলত , ভাইয়া কোথাও যাবনা তোমাদের ছেড়ে
দুরে গেলে কে দিবে গাছ থেকে আম পেড়ে ?
কোথাও গেলে পাব না আমার পছন্দের বকুল
বৈশাখের ঝড়ে আম কুড়ানোর আনন্দ অতুল।
কত ক্ষেপাতাম আসবে রাজপুত্র রাজবেশে
মিনতি করবে নম্রতায় পাশে বসে
বিয়ে করতে চায় আপনার বোনকে।
জিজ্ঞাসিব হুঙ্কারে আর ধমকে,
এত বড় সাহস!! কি আছে তোমার???
বলবে রাজকোষ , সহায় সম্পত্তি বেশুমার।
বলবো ফিরে যাও , বাড়িয়ে আক্রোশ।
চাইনা সম্পদ , চাইনা রাজকোষ
আমি চাই , ধর্মপরায়নতা , তাকওয়া , তাওয়াক্কুল, আল্লাহভীতি
ন্যায়পরায়ন, দায়িত্ববান মমত্ববোধ , সম্প্রীতি ও মাতৃপ্রীতি।
একদিন সত্যি সত্যি এল এক শাহাজাদা
নম্র মিনতি, বোনকে করবে জীবন সঙ্গিনী – কথা বাড়াল না বেহুদা
দেখলাম তার তাওয়াক্কুল ,আল্লাহ ভীতি , ধার্মিকতা ও মাতৃভক্তি
চক্ষু জুড়াল , অন্তরে পেলাম আত্ম তৃপ্তি।
আমার বোনকে দেখে তার আলহামদুলিল্লাহ উচ্চারণ
বড় ভাল লেগেছিল, মনে এসেছিল খুশীর ত্বরণ
ভেবেছিলাম শোকরগুজারী হবে , অল্পতে হবে খুশী
তাকওয়া, তাওয়াক্কুল তার সম্বল হবে , বিদ্বেষ রাখবে না পুষি।
পিত্রহারা আদরের বোনকে দিলাম তার হাতে তুলে
বললাম সুখী হও , সূখী থাক, আল্লাহকে যেওনা ভুলে
বিপদে আপদে তাকে ডেক , ধৈর্য্যকে কর পুজি
দুনিয়ার জীবন যাপনে আখিরাতকে নিও খুজি।
আল্লাহর হুকুম মান্য কর , আকড়ে ধর সুন্নাত
দুনিয়ায় শান্তি পাবে , আখেরাতে জান্নাত।
আজ জুটি হিসাবে মানিয়েছে বেশ, সৌন্দয্য অপরূপ
বরকতময় হোক আগত জীবন , সুখী হোক জেসমিন মারুফ।