কপাল, নাঈমা চৌধুরী Fate by Nayeema Chowdhury
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার সঙ্গে দেখা
না হলে বুঝি অপূর্ণ থেকে যেত কিছু,
কখনও কখনও ভাবি কী এমন ক্ষতি হতো?
কাটিয়ে দিতাম হেসেখেলে
একটা স্বাধীন কীটপতঙ্গ জীবন।
পাটরানী থেকে দুয়োরানীর দূরত্বটুকু তো
অতিক্রম করতে হতো না।
তোমার হেঁয়ালি বুঝা বড় ভার কবি,
সামান্যাকে নিমেষেই করে তোল অসামান্যা
বিজ্ঞজনের সভায়,
আবার স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পতনও তোমারই কৃপা।
এখানে এই অপাংক্তেয়, অর্বাচীনের কিছু
বলার ছিল কি না, তা বিবেচনাযোগ্য নয়।
লাবণ্যর কাছে কেউ কখনও জানতে চায়নি
মন সাঁতারের দীঘি হতে চেয়েছিল কি না সে,
নাকি ঘড়ায় তোলা জল হয়ে কাটাতে চেয়েছিল
একটা আটপৌরে লাল-নীল জীবন?
দ্রৌপদীকে কেউ শুধোয়নি পঞ্চ-স্বামীর যাতনা
নাকি অর্জুনের সাথে একটা স্বপ্ননীড়,
কি ছিল তার স্বপ্ন?
সীতা হয়তো চেয়েছিল রাজরানী হয়ে
রাজ্যপাট সামলাবে।
কিন্তু তার কপাল,
বনবাস, লঙ্কাকাণ্ড সবই তার কপাল।
শুধু এই কপাল দোষেই লাবণ্যকে
বয়ে বেড়াতে হয় প্রত্যাখ্যানের গ্লানি।
সীতাকেই দিতে হয় অগ্নিপরীক্ষা যুগে যুগে।
দ্রৌপদীর কপালে শেষপর্যন্ত জোটে না স্বর্গের আবাস।
কার এত আস্পর্ধা
তোমার ইচ্ছার দোষ দেবে?
তুমি ভোগ চাইলে ভোগ,
ত্যাগ চাইলে ত্যাগ,
তাও এই কপাল…হা কপাল।