সমাজের দীপ্ত অহংকার, আসমা খান, Pride of Society, Asma Khan
শনি, শনি চারিদিকে মড়কের শনি,
ছোঁয়াচে মড়কে ঘরে ঘরে শুধু কান্নার ধ্বনী-প্রতিধ্বনী।
মহামারী পাকা খুনী
পাইকারী খুনে দেশে দেশে শুনি শুধু আকালের পদধ্বনী।
সন্দেহ, ভয়, মনে হয় কি যেন আসে পিছে পিছে
কি যেন ওৎ পেতে আছে অই জানালায়, অই কার্নিসে।
আততায়ী বুঝি কাছেই আছে চেনা জনে মিশে
সভ্যতার সব অর্জন স্তব্ধ করেছে ‘কোভিদ উনিশে’ !!
মহামারী সঙ্কটে, ঘর বন্দী গুমোটের দিন
লকডাউনের আদেশ করেছে ঢের পরাধীন।
তুলে দিয়ে দরোজায় খিল
দূরে থাকা, ছয় ফুট দূরে থাকা, বাঁচা মুশকিল।
দলে দলে রোগী আসে হাস্পাতালে,
অদ্ভুত এ আঁধার
টিকা নেই, ঔষধ নেই, শ্বাসকষ্টে নেই ভেন্টিলেটার
সাহসী যোদ্ধার মত তবু লড়ে নার্স,
মারিজয়ী ডাক্তার
জীবন বিপন্ন করেই তাঁদের আপ্রান চেষ্টা মানব সেবার।
ছোঁয়াচে রোগে সকলেই অসহায়,
সামনে যখন মৃত্যু ধমকায়
হিমশীতল শঙ্কায়ও
সাহসের সাথে যাঁরা নিবেদিত স্বাস্থ্য সেবায়
ত্যাগের মহিমায়
তাঁরাই সমাজের দীপ্ত অহংকার!!!
এ বীরত্বের মঝেই মহত্ত্ব, থমকানো সময়ে আশার সঞ্চার।
দুর্যোগে প্রভু! নত মস্তকে ক্ষমা চাই, ক্ষমা চাই বার বার।
ঢের বেশী লাস, সর্বগ্রাসী সর্ব্নাস নিয়ে
এসেছ এ অভিশপ্ত মহামারী
রাতের পর দিন,এবার দিন বদলে ফেলা দরকারি
শোক জয় করে মায়ায় ও আদরে
আসলে মরন’তক মানুষ তো সংসারী।
তাই ক্রমে ক্রমে উৎসব আসে, পরব আসে,
বিয়ের পর জন্ম নিয়ে আসে সময়ের গাড়ি
নিরাময় নিয়ে দ্বার খোল হে ২০২১ সাল!!
হে শুভ জানুয়ারী!!!,