অনন্তের সাথে সন্ধি, আসমা খান
সুস্থ বেঁচে থাকা সহজ ,সুসময় উড়ে চলে যায়
দুর্যোগ,রোগ শোক মড়ক সব স্তব্ধ করে কষ্টে গোঙ্গায়
বিদ্ধস্ত লোকালয় খোঁজে তখন অলৌকিক
কিছু চিহ্ন, মন্ত্র, দোয়া, সাধারন জ্ঞানের অধিক
কোন সূত্রঃ, দ্বিধা সংশয়ে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত অভয়
গোলক ধাঁধার মহামারী সময়।
রাতের আকাশে বিভ্রান্ত পথিকের আশ্বাস ধ্রুবতারা।
কে সে ? কার পিছে আসিবে প্রিয়জন হারানো সন্তপ্ত অভাগারা ?
সন্তাপ মানুষকে কাছাকাছি আনে । খুলে দিয়ে আত্বার চোখ
অকালে হারানো স্বজন্,
মন মানে না, মানে না জীবন যেন চলমান দোজখ,
যেন ব্লাকহোল। স্মৃতির কাজল মুছে যাওয়া প্রিয় কন্ঠস্বর…
জানে মৃত্যু অমোঘ,
জীবনের অলি গলি, কত দলাদলি ,কত রোগ, শোক, কত দুর্ভোগ।
শুধু জানে না তো বাঁচিবার আশা কি ভয়ংকর
কত মোহ, লোভ, স্বস্তি, শান্তির এ মায়াবি বসতঘর।
তাই মড়কের ঢেউ আসে যখন তালে তালে, তরঙ্গে তরঙ্গে
জীবন ছোটে উর্ধ্বশ্বাসে, শুধু নিজেকে নিয়েই নিজের সঙ্গে
বিভ্রান্ত সময়, চেনা জগৎ অচেনা করেছে কোভিদ উনিশে
আশা মরীচিকা, চিকিৎসায় কোন টিকা,কে জানে নিরাময় কীসে ?
লক-ডাউন শহরে, নির্জন ঘরে, অনন্তের সাথে অন্তরঙ্গ আঁতাত
পবিত্র রমযানে কোরান তেলাওয়াত, বিশ্বাসের শাশ্বত আয়াত
মোনাযাতে জোড়াহাত, কামনায় বিদেহীর মাগফেরাত,
নিরাময়, আর দ্রুত শেষ হোক এ ভয়ংকর ভাইরাস সংঘাত।
দোষে গুনে মানুষ!! শয়তান ও নয়, ফেরেস্তা ও না
বিচারের পেন্ডুলাম যদিও দুদিকেই করে আনাগোনা
উপবাসে তাই আত্বশুদ্ধির মানবিক প্ররোচনা
পবিত্রতার স্নিগ্ধ সান্তনা।
কিছু কিছু পার্থিব মোহ হোক মুলতবি, লোভ ঘৃণা ছিড়ে
অপার্থিব মমতায় ঘিরে,
গহিন গভীরে হোক ভিন্ন রুপান্তর।
প্রার্থনায় একটি রাতেই তো নোঙর
করে হাজার রজনী!!!’লায়লাতুল ক্বদর’!
পিছনে থাক ভয়াল মহামারী আগ্রাসী সর্বনাস
পার করে দাও, প্রভুঃ টানেলের ঐ পাশ
দাও ভাইরাস মুক্ত বাতাশ, সবুজ ঘাস, পানির নহর
ছবর ও শোকরের পাণ্ডুলিপি অন্য ঈদ উল ফিতর!